বরিশাল, বাবুগঞ্জ।
বরিশাল থেকে পাবলিক বাসে আসা যায়। নথুল্লাবাদ বাস টারমিনাল থেকে বরিশাল – বানারিপাড়া বাস এ দূর্গা সাগর নামতে হবে। এ ছাড়া মাইক্রো , প্রাইভেট কার , স্কুটার যোগেও আসা যাবে। বরিশাল থেকে মাত্র ২৫ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিটের পথ ।
0
১৭৮০ খৃষ্টাব্দে চন্দ্রদ্বীপ পরগনার তৎকালীন রাজা শিবনারায়ণ এলাকাবাসীর পানির সংকট নিরসনে মাধবপাশায় একটি বৃহৎ দীঘি খনন করেন। তাঁর মা দুর্গাদেবীর নামে দীঘিটির নামকরণ করা হয় দুর্গাগাসাগর। প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিবর্তে দুর্গাসাগর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে জেলা প্রশাসন। দুর্গাসাগরের তিনদিকে ঘাটলা ও দীঘির ঠিক মাঝখানে ৬০ শতাংশ ভূমির উপর টিলা।
রাজবংশের রাজা শিব নারায়ণের প্রজাবৎসল স্ত্রী রানী দুর্গাবতী ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে বিশাল এক দীঘি খনন করে এখনো অমর হয়ে আছেন। তার নামেই এই দীঘি ” দূর্গা সাগর ” নামে পরিচিত । সাগর দিয়ে এর বিশালত্বকে বুঝানো হয়েছে। এত বড় দীঘি বরিশাল বিভাগে আর নেই। এটি এখন পর্যটকদের এবং প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে একটি সুন্দর স্থান। বিশাল সিমেন্টের প্রশস্ত ঘাটলা , দীঘির মাঝে একটি সুন্দর দ্বীপ , যেখানে শীতকালে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। পাখিদের অভয়ারণ্য এই এলাকা । দীঘির পারে সরু রাস্তা , মাঝে মাঝে বসার বেঞ্চ , ঘন সবুজ বিভিন্ন ধরনের গাছ – আপনাকে দিবে অনাবিল শান্তি। ইচ্ছে করলে আপনি এখানে পিকনিক করতেও পারেন। যারা বরিশালে আসবেন , এই দূর্গা সাগর দেখতে ভুলবেন না। মৎস্য শিকারিরাও এখানে আস্তে পারেন – বিশাল আকৃতির মাছ ধরার জন্য । বছরের কোন এক সময় – টিকিট কেটে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ আছে এখানে।